Posts

Showing posts from January, 2024

অ ন্ত রা লে (৫ ম খণ্ড) - ডঃ অসিত কুমার মাইতি

Image
  অ  ন্ত  রা  লে (প্রচ্ছদ - ডঃ অসিত কুমার মাইতি)  অভিরাজ এরপর বারংবার যোগাযোগ করতে চেয়েও করতে পারেনি , শেষমেশ বাধ্য হয়ে কারণটা জানতে কলকাতায় অপূর্বার নার্সিংহোমে চলে এল । নার্সিংহোমের রিশেপশানিষ্ট কে অপূর্বার কথা জিজ্ঞেস করতে বলল , উনি এক মাস ছুটিতেই আছে । অভি ফিরে আসে । এক মাস পর আবারও নার্সিংহোমে এসে খোঁজ নিল , পুনরায় রিশেপশানিষ্ট বলল , ম্যাডাম একটি এমারজেন্সি লিভ নিয়েছেন তিন দিন আগে । কোনো বিশেষ সূচনা থাকলে জানাতে পারেন আমরা খবর করে দেব । কথাটা শেষ হতে না হতেই , অভির ফোনে একটি অপরিচিত ফোন আসে – ফোনটা ধরতেই ফোনের ওপার থেকে বলল , দাদা আমি অপু দিদির পাশের বাড়ির ভাই অর্ঘ । অভি জিজ্ঞেস করল – ভাই দিদি কোথায় ? ওদিকে সবকিছু ঠিক আছে তো ? অর্ঘ   ভয়ে বলল - না , দাদা এখানে কিছুই ঠিক নেই । দিদি মাস খানেক ধরে অসুস্থ , সারাদিন বিছানাতেই রয়েছে বার দুয়েক ডাক্তার ও এসেছিল । এখন বাড়িতেও অবস্থা খুবই খারাপ , অক্সিজেন সিলিন্ডার চলছে । তুমি জান কিনা জানি না , আমাকে শুভমিতা ( অপূর্বার বোন ) একবার এটা জানাতে বলেছিল । তুমি পারলে একবার এসো । রাখ...

মিঃ পারফেক্ট - ডঃ অসিত কুমার মাইতি

Image
কি রে তোর মন খারাপ কেন? কিছু কি হয়েছে? সুদীপ এর প্রশ্নে অনু ট্রেনের জানালার দিক থেকে মুখটা সুদীপের দিকে ঘুরিয়ে বসল। -        আরে না না তেমন কিছু নয়। -        বলতে পারিস যদি এখনও বন্ধু ভাবিস। -        এরকম বলিস না। আসলে আকাশ এর সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে, তাই মনটা একটু খারাপ আছে।কি করব ঠিক ভেবে পাচ্ছি না। -        কি হয়েছে? -        তুই তো জানিস আমি আকাশকে কতটা ভালোবাসি, কিন্তু সে আর বুঝলো কই। -        কেন কি হয়েছে? এই তো সেদিন তোরা বেশ কোথায় ঘুরতে গেছিলি। সেখানে কি কিছু হয়েছে? -        না রে সেখানে সব ঠিক ছিল। মুর্শিদাবাদ থেকে আসার তিন দিন পর আকাশ এর মাসির মেয়ের বিয়ে ছিল। ওর মাসির বাড়ির অবস্থা খুব ভালো। ওর মেসো আই পি এস অফিসার। আর ওর বাবার তো লিকার দোকান আছে। তাই ঐ বিয়ে বাড়িতে লিকারের একটা বিশাল স্টল ছিল, সেটা আকাশ আর ওর মাসির ছেলে রোহান দেখছিল। সেখনেই ওরা দুই ভাই সব...

অ ন্ত রা লে (৪র্থ খণ্ড) - ডঃ অসিত কুমার মাইতি

Image
  অ  ন্ত  রা  লে (প্রচ্ছদ - ডঃ অসিত কুমার মাইতি)            অভি আর নিজের চোখের জলের স্রোতে বাঁধ দিতে পারেনি। আজ বহুদিনের একটা সুপ্ত ভয় সত্যি হল। অপু চলে গেল তার থেকে অনেক দূরে বহু চেষ্টা করেও অভি কোনোভাবেই অপূর্বা সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। অভি নিজেকে খাঁচার বদ্ধ একটা পাখির মতো কয়েকটা দিন কাটিয়ে দিল। তারপর মনে মনে আশার একটা স্বপ্ন ছবি এঁকেছিল। যেখানে তার প্রিয়া অপূর্বা আবারও ফিরে আসছে। নিজেকে ধীরে ধীরে শক্ত করে আজ কয়েকটা বছর কাটিয়ে দিল অভি।       নিজস্ব পারদর্শীতায় খাড়া হয়ে, অভিরাজ বিশ্ববিদ্যালয় অতিক্রম করেই একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করে দেয়। একদিন হঠাৎ একটা বন্ধুর অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে যায় কলকাতার এক নার্সিংহোমে, সেখানে বন্ধু অমিতের সাথে দেখা করবার পর একজন নার্সকে জিজ্ঞেস করতে যায়, অমিতকে কবে ছেড়ে দেওয়া হবে। নার্সের সামনে গিয়ে অভি আর কিছুই জিজ্ঞেস করতে পারেনি। শুধুই আনমনে হঠাৎ কী একটা ভাবছিল!   নার্স যখন বলল তুমি অভি তো?   কেমন আছো? ...