গোধূলি - ডঃ অসিত কুমার মাইতি
অভি বহুদিন পর পড়াশোনা শেষ করে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিল, অনেকটা পথ তাই গ্রামের কথা মনে করতে করতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে সে খেয়াল তার নেই। প্রায় ঘন্টাখানেক পরে কন্টডাকটারের ডাকে ঘুম ভাঙতে দেখে পাশে ইন্দ্রাণী বসে।
ইন্দ্রাণী বলল কি, “বাবুর ঘুম ভাঙল।
অভি : হ্যাঁ, এই আর কি। তা তুই হঠাৎ?
ইন্দ্রাণী : সুমি কাছে খবর পেলাম তুই আসছিস তাই চলে এলাম।
অভি : তাই বলে এখানে, মানে বাসে কীভাবে?
ইন্দ্রাণী : আরে পাগল পরের স্টপেজেই বাস থামবে ওখানে বড় মেলা হচ্ছে। তাই বাসের নো এন্ট্রি। চল ওখানে নেমে আমরা একটু মেলা ঘুরে বাড়ি যাব।
অভি : আচ্ছা।
মেলায় নেবে সবার মত অভি আর ইন্দ্রাণী একটু ঘোরাঘুরি করে ফুচকা, মালাই খেয়ে হাঁটাপথে বাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে ইন্দ্রাণী বলল, "অভি এবার একটা কিছু উপায় বের করিস নয়ত বাবা আমার বিয়ের জন্য খুব তাগাদা দিচ্ছে, আমি এই নয় ঐ নয় করে তিনটি বছর কাটিয়ে দিলাম এবার কি করব জানি না। আমি আসছি একটু ভেবে দেখিস, কাল বিকেলে সুমি পড়তে আসবে ওকে নিয়ে আসিস।”
অভি : (মৃদু স্বরে বলল) হ্যাঁ।
খোলা আকাশের নীচে গোধূলির শেষ প্রহরে ঝিঁঝিঁর ডাকের সাথে অভি এগিয়ে চলল কালো পিচ রাস্তা থেকে নেমে তার বাড়ির মেঠো পথের দিকে সাথে ছিল হঠাৎ আছড়ে পড়া আমোঘ চিন্তার পাহাড়।
Comments
Post a Comment